ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ছয় দিন মহাসড়কে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ ভবনে ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এমন নির্দেশ দেন।

এসময় তিনি বলেন, প্রতিবার ঈদকে কেন্দ্র করে যানজটের কারণে যাত্রীদের প্রচুর ভোগান্তি  দেখা যায়। তাই এবছর ঈদের আগে এবং পরে ছয়দিন মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্ধ রাখতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ঈদে ট্রাক-ভ্যান বন্ধ থাকলেও প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস মালামাল, ওষুধ জাতীয় পণ্য, জ্বালানি, সার জাতীয় পণ্যের গাড়িগুলো এর আওতামুক্ত থাকবে। অর্থাৎ বাকি সব বন্ধ থাকলেও এগুলো শুধু চলবে।

এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ যাতায়াতে ঈদের আগের তিনদিন ও পরের তিনদিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।  তবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ, সার ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।’ মহাসড়কে সংস্কারকাজ ঈদের সাতদিন আগেই শেষ করতে হবে বলেও এসময় জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের ঈদে যানজটের জন্য মহাসড়কগুলোর সম্ভাব্য ১৫৫টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। যানজটের জন্য মহাসড়কগুলোর সম্ভাব্য ১৫৫ স্পট চিহ্নিতের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪৮, উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ৫২, ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৬, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৪১ এবং ঢাকা-পাটুরিয়া-আরিচা মহাসড়কে ৮টি স্পট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সভায় উপস্থিত আছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক, সড়ক পরিবহন বিভাগের বিভিন্ন সংস্থা প্রধান, পরিবহন মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা। সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা।